চউক-প্রারম্ভিকঃ
“চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ” চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য একটি সংবিধিবদ্ধ পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন প্রণয়নমূলক কর্তৃপক্ষ, যা ১৯৫৯ সালে চউক অধ্যাদেশ-১৯৫৯ এর আলোকে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, বর্তমানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৮ এর বিধি বিধান এর আলোকে পরিচালিত হচ্ছে। “চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ” প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ছিল চট্টগ্রাম শহর ও এর আওতাধীন এলাকার পরিকল্পিত ও সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়ন। ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানের কারণে চট্টগ্রামের উন্নয়ন বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রাচীণ এই নগরীর নগরায়রনের ক্রমবর্ধমান ধারার প্রতি দৃষ্টি রেখে নগরায়নের ধারাকে পরিকল্পিত এবং টেকসই করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) কাজ করে যাচ্ছে।
চউক এর প্রধান ভূমিকাঃ-
- পরিকল্পিত উন্নয়ন ও অপরিকল্পিত উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ
- উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা
- উন্নয়নের অনুমোদন
চউকের মূল কাজ সমূহ নিম্নরুপঃ-
- চট্টগ্রাম শহর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য একটি উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা তৈরি করা এবং তার নিয়মিত উন্নয়ন
- চট্টগ্রাম শহরের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন। এই পরিকল্পনার আওতায় রয়েছে নতুন রাস্তা নির্মাণ, শহরের প্রধান সড়ক সমূহ প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন, বাণিজ্যিক বিতান নির্মাণ, শিল্প, আবাসিক এলাকার উন্নয়ন এবং বাণিজ্যিক প্লটসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় শহর কেন্দ্রীক উন্নয়ন।
- সরকার অনুমোদিত চট্টগ্রাম শহরের মহাপরিকল্পনা এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধ্যাদেশের আলোকে স্ট্রাকচার প্ল্যান অনুযায়ী পরিকল্পনা নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন।
- বাংলাদেশ ইমারত নির্মাণ বিধিমালা- ১৯৫২ ও তৎপরবর্তী সংশোধনী অনুযায়ী অপরিকল্পিত উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ।
চউক নিয়ন্ত্রিত এলাকাঃ-
স্ট্রাকচার প্ল্যান-১৯৯৫ অনুযায়ী ১১৫২ বর্গ কিঃ মিঃ
চউক সীমানাঃ
- উত্তরে : সীতাকুন্ডের বাঁশবাড়িয়া
- দক্ষিণে: সাঙ্গু নদী
- পূর্বে: রাঙ্গুনীয়ার ইছাখালী
- পশ্চিমে: বঙ্গোপসাগর
চট্টগাম মেট্রোপলিটন মাস্টার প্ল্যানঃ-
সর্বপ্রথম ১৯৬১ সালে চট্টগ্রাম শহরের মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। পরবর্তীতে UNDP ও UNCHS এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ১৯৯৫ সালে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়, যা ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়।
উলেখিত মহাপরিকল্পনার আওতায় নিম্নলিখিত পরিকল্পনা সমূহ প্রস্তুত করা হয়ঃ-
- স্ট্রাকচার প্ল্যান (১৯৯৫-২০১৫)
- আরবান ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান (১৯৯৫-২০০৫)
- ট্রান্সপরটেশন মাস্টার প্ল্যান (১৯৯৫-২০১৫)
- ড্রেনেইজ মাস্টার প্ল্যান (১৯৯৫-২০১৫)
পরবর্তীতে উক্ত মাস্টার প্ল্যান -১৯৯৫ এর নির্দেশনা অনুযায়ী ২০০৭ সালে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (১৯৯৫-২০০৫) প্রস্তুত করা হয়।
- স্ট্রাকচার প্ল্যান (১৯৯৫-২০১৫)
প্রধান বৈশিষ্ট্যঃ
- চউক নিয়ন্ত্রিত ১১৫২ বর্গ কিঃ মিঃ এলাকার কৌশলগত পরিকল্পনা
- ভূমি ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশনা
- আঞ্চলিক গ্রোথ সেন্টার সমূহের উন্নয়ন সংক্রান্ত নির্দেশনা
- জনসংখ্যা, অর্থনীতি, যাতায়াত, ভূমি উন্নয়ন, আবাসন, ইত্যাদি ক্ষেত্রে সর্বমোট ৭৬টি কৌশলগত নির্দেশনা
- আরবান ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান(১৯৯৫-২০০৫)
প্রধান বৈশিষ্ট্যঃ
- শহরের ২৫৯ বর্গ কিঃ মিঃ এলাকার উন্নয়ন সংক্রান্ত নির্দেশনা
- ভূমি ব্যবহার সংক্রান্ত অঞ্চল বিভাজন
- ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (সরকারী অনুদানে)
প্রধান বৈশিষ্ট্যঃ
- গণমূখী পরিকল্পনা
- চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ
- উন্নয়ন ও পরিকল্পনায় GIS ডাটাবেইজ এর ব্যবহার
- নির্দিষ্ট এলাকা সমূহের বিশদ পরিকল্পনা
- প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য মন্ডিত স্থানসমূহ যেমন, পাহাড়, উন্মুক্ত স্থান , জলাশয় /জলাধার, ইত্যাদি চিহ্নিত করণ ও রক্ষণাবেক্ষণ
- বিবিধ ভূমি ব্যবহার যেমন, আবাসিক/ বাণিজ্যিক/ শিল্প সহ সড়ক, ড্রেনেইজ, ইউটিলিটিজ ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত উন্নয়ন পরিকল্পনা